價格:免費
更新日期:2017-05-08
檔案大小:2.5M
目前版本:1.0
版本需求:Android 4.0.3 以上版本
官方網站:http://www.bendroidapps.com
Email:bendroidapps@gmail.com
聯絡地址:Skovmarken 6A 2770 Kastrup Denmark
মুক্তির পথ
তাহলে কি মানুষকে এই অশান্তি সৃষ্টির জন্য আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন? বিভেদ ও বিশৃংখলার জন্য সৃষ্টি করেছেন? কঠিন ও জটিল এই পৃথিবীতে মানুষকে পথের সন্ধান না দিয়েই ছেড়ে দিয়েছেন? না, কখনই তা হতে পারে না। আল্লাহ তো দয়াময় ও মেহেরবান। যে আল্লাহ্ বিশাল এই পৃথিবীর সব কিছু সৃষ্টি করেছেন আমাদের সুখ-স্বাচ্ছন্দের জন্য যে আল্লাহ্ সব মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আলো, বাতাস আর খাবার দিয়ে সেই আল্লাহ্ মানুষকে বাতলে দিয়েছেন সরল, শান্তির পথ- সিরাতুল মুস্তাকিম । কোন পথে চললে মানুষ পাবে শান্তি, কোন পথে আসবে মানুষের মর্যাদা, কোন পথে চললে মানুষ তার দায়িত্ব পাবে তা তিনি সৃষ্টির সাথে সাথেই জানিয়ে দিয়েছেন মানুষকে। শিখিয়ে দিয়েছেন প্রথম মানুষ হযরত আদম (স) কে। হযরত আদম আঃ তাঁর গোটা জীবন সেইভাবে চালিয়েছেন।
তাঁর পুত্র পরিজনকেও সেইভাবে পরিচালনা করেছেন। তার পর দিন দিন মানুষের সংখ্যা বাড়তে লাগলো। ছড়িয়ে পড়লো মানুষ পৃথিবীর আনাচে-কানাচে আস্তে আস্তে আল্লাহর পথও ভুলে গেল তারা। রাহমানুর রাহীম আল্লাহ আবার মানুষকে মুক্তির পথ বাতলিয়ে দিতে চাইলেন। তিনি মানুষের মধ্যে থেকে বিশেষ কিছু মানুষকে মনোনিত করলেন। এই মনোনীত বান্দারা হলেন নবী ও মানুষ। এবং সেই বাতলিয়ে দেয়া পথের নাম-ইসলাম। আল্লাহর এই মনোনীত বান্দারা তাঁর হুকুম নিজেরা মেনে চলেছেন আর তাদের যুগের সাধারণ মানুষদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন-দেখো, এইভাবে চলো, এইভাবে নিজেদের জীবনকে গড়ে তোল, সমাজকে গড়ে তোল। শুধু মুখে মুখে নয়, কাজের মাধ্যমে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন আল্লাহর পথ কোনটি। তাই ইসলাম শুধু মাত্র একটি ধর্মের নাম নয়। ইসলাম আল্লাহর মনোনীত শান্তির পথ। এই দুনিয়ায় মানুষের জীবন-যাপনের পথ নির্দেশ।
সর্বশেষ নবী হলেন আমাদের প্রিয় রাসূল হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (স)। তিনি সকল নবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ নবী। আল্লাহ তাঁর কাচে যে বাণী পাঠিয়েছেন তা হলো-আল-কুরআন। কুরআন আজও হুবহু আমাদের মাঝে আছে অথচ অন্যান্য নবীদের শিক্ষা আজ আর অক্ষত অবস্থায় নেই। তাই আল্লাহর দেখানো পথ আমরা এখন একমাত্র হযরত মুহাম্মদ (স) এর কাছ থেকে পেতে পারি। ইসলাম বলতে আমরা এখন যা বুঝি তা হলো-হযরত মুহাম্মদ (স) এর কাছ থেকে দেয়া শিক্ষা-দীক্ষা।
মানুষের গড়া মতবাদ
আল্লাহর দেখানো এই মুক্তির পথকে বাদ দিয়ে মানুষ নিজে তার চলার পথ রচনার চেষ্টা করেছে বহুবার। কেউ বলেছে, এ পৃথিবীর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই। এ দুনিয়াটাই সব-দুনিয়ার সুখ শান্তিই সব। অতএব খাও দাও ফুর্তি কর। আর এ জন্যে অন্যকে ঠকিয়ে বড়লোক হওয়া অন্যায় নয়। শ্রমিককে খাটিয়ে তোমার টাকাকে আরো বাড়াও। কিন্তু তাদেরকে ঠাকানো কোন ক্ষতি নেই। কে তোমাকে আটকাবে? পরকাল? তা তো নেই। এই ধরণের চিন্তা বা মতাবাদের নাম হলো পুঁজিবাদ। পুঁজিবাদ সমাজে এক দলের ঘাম আর রক্তের বদলে বড়লোক হলো অন্য একদল। বড়লোকেরা আরও বড়লোক হলো গরীবরা হলো আরও গরীব। সমাজের সমস্ত কর্তৃত্ব চলে গেল এই সব লোকের হাতে। পুঁজিবাদ তাই কোন শান্তির দিশা দেখাতে পারলো না মানুষকে। এই অন্যায় ও বেইনসাফীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ক্ষেপে উঠলো। ক্ষেপে উঠলো শ্রমিকরা, ক্ষেপলো সাধারণ কৃষকরা। ধীরে ধীরে গড়ে উঠলো আরও একটা মতবাদ। তার নাম কম্যুনিজম। এই মতবাদের হোতারা বললো-দেখো, মানুষ ধনের জন্য অন্যর উপর জুলুম করে। অতএব সকলের নিজস্ব সব সম্পদ কেড়ে নাও। সকলের সম্পদ কেড়ে নিয়ে গড়ে তোলা গরীবদের সমাজ। সব সম্পদের মালিক হবে রাষ্ট্র। সকলেই খাটবে। সকলে সমান মজুরী পাবে। সকলেই হবে সমান। কথাগুলো সত্যি খুব সুন্দর। গরীবরা যারা এতোদিন ছিল নির্যাচিত তারা আশার আলো দেখলো তাতে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা ঘটলো অন্য রকম। গরীবরা শাসক হবে কিভাবে? সব গরীবতো একসাথে দেশ শাসন করতে পারে না। তাই স্বাভাবিকই গুটিকতক লোকের হাতে চলে গেল দেশ শাসনের সর্বময় ক্ষমতা। আর সেই সাথে তারা হলো সারাদেশের সম্পদের হর্তাকর্তা। পুঁজিবাদী রাষ্ট্রে সম্পদের মালিক ছিল গুটিকতক লোক। তাদের হাতে তেমন ক্ষমতা ছিল না। এখন এই নতুন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নতুন পথের সন্ধান করলো। তারা বুঝলো দেশ এখন সবার। সরকার সকলের। অতএব বিরোধিতা করা যাবে না। সামলোচনা করা যাবে না। যারা বিরোধিতা করবে, সমালোচনা করবে তারা সরকারের শত্রু অতএব জনগণের শত্রু। আর তাই লাগাম আঁটা হলো সকলের মুখে। একমুঠো খাবারের জন্যে হারাতে হলো সবকিছু। এই নতুন মতবাদও মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে পারলো না। সময়ের ব্যবধানে এই মতবাদেও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো।